১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্ম প্রবাদপ্রতিম এই বিজ্ঞানীর। ১৯৬৩ সালে মাত্র একুশ বছর বয়সে স্নায়ুর জটিল অসুখে আক্রান্ত হন তিনি। ১৯৬৩ সালে চিকিৎসকরা তাঁর আয়ু মাত্র দু’বছর বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি হকিং। কেমব্রিজে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। সেখানেই পিএইচডি সম্পূর্ণ করেন তিনি। বাকিটা ইতিহাস।
বিজ্ঞানী হিসেবে তো বটেই, শারীরিক এই প্রতিকূলতা নিয়েও যেভাবে তিনি এত বছর বেঁচে থেকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছিলেন, তা চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এক বিস্ময় হিসেবেই গণ্য করা হয়।
বিজ্ঞানী মহলে গোটা বিশ্বেই আলবার্ট আইনস্টাইনের পরে সবথেকে সমাদৃত ছিলেন হকিং। তাঁকে বলা হয় ব্ল্যাক হোল থিওরির জনক। ১৯৮৮ সালে তাঁর লেখা ‘‘অ্য ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’’ গোটা বিশ্বের আমজনতার কাছেও তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল। কারণ বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্বকথাকেও সহজ ভাষায় মানুষের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হন তিনি।
শারীরিক প্রতিকূলতাকে মনের প্রবল জোরে কীভাবে হারিয়ে দেওয়া সম্ভব, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হকিং। একাধিক জনপ্রিয় বইয়ের লেখকও তিনি। তাঁর জীবন নিয়ে তৈরি হওয়া ছবি ‘‘দ্য থিওরি অফ এভরিথিং’’ ২০১৪ সালে অস্কার পুরস্কার জেতে।
৭৬ বছরের এই বিজ্ঞানী রেখে গেলেন তাঁর তিন ছেলে লুসি, রবার্ট এবং টিম-কে। বিজ্ঞানীর মৃত্যুতে তাঁর ছেলেদের তরফে জানানো হয়েছে, “বাবার মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। এক জন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হওয়ার পাশাপাশি তিনি এক জন অসাধারণ মানুষও ছিলেন।”